নাটোরের বড়াইগ্রামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় নেতাকর্মীদের উপর দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অপর আলোচনা সভায় সিটে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে আরো সাতজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বুধবার বিকালে বড়াইগ্রাম পৌরসভা চত্তরে পৌর যুবলীগের উদ্যোগে শোক সভার আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে, সকালে বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজের আলোচনা সভায় চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী হাসানুজ্জামান শিপন (১৯), উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মাসুদ রানা (২০) ও শাহীন আলমকে (২০) বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসানুজ্জামান শিপনকে হাসপাতাল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে শিপন ৪-৫ জন বহিরাগত নিয়ে কলেজ চত্বরে শোকদিবসের মঞ্চে গিয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত চেয়ারে বসে। সেখানে উপস্থিত মাসুদ রানা তাদেরকে শিক্ষকের চেয়ার ছেড়ে দিতে বললে তাদের মধ্যে বিতর্ক বাধে। এক পর্যায় শিপন মাসুদের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় অন্যরা এগিয়ে এলে সংঘর্ষ বাধে। এতে মাসুদ, শিপনসহ অন্তত সাতজন আহত হয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, কলেজ চত্বরে টহল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অধ্যক্ষের মৌখিক অভিযোগে শিপন নামে এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিকালের ঘটনায় পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাসিম/তৌহিদ)
