জনতা ব্যাংকের দুই পরিচালক প্রত্যাহার

জনতা ব্যাংক

জনতা ব্যাংকের দুই পরিচালক প্রত্যাহার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ঋণ জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জনতা ব্যাংকের দুই পরিচালককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরকার জনতা ব্যাংকের ২ পরিচালককে প্রত্যাহার করেছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোনো আপত্তি করেনি।

পরিচালকদ্বয় হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল হক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মানিক চন্দ্র দে।  

জানা যায়, দুই পরিচালক প্রত্যাহারের বিষয়ে গেল বুধবার (৩ অক্টোবর) জনতা ব্যাংক পর্ষদের কাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ চিঠি দেয়। সে দিনই জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।  

এরপর বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) দুই পরিচালককে প্রত্যাহার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিঠি দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে সায় দেয় এবং জনতা ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে এ দু’জনের নাম সরিয়ে ফেলা হয়।

 

জনতা ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৩ পরিচালক পদ রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৮জন পরিচালক আছেন। দুই পরিচালক প্রত্যাহারের পর শূন্য রয়েছে ৫টি পদ।  

বাদ পড়া দুই পরিচালকের মধ্যে মো. আবদুল হক ২০১৭ সালের ১১ জুলাই তিন বছর মেয়াদে জনতা ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তার মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত । আরেক পরিচালক মানিক চন্দ্র দে ২০১৫ সালের ৩০ জুন তিন বছর মেয়াদে পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন এবং এ বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল।

বর্তমানে ঋণ জালিয়াতির কারণে আর্থিক খাতে আলোচনার শীর্ষে জনতা ব্যাংক। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বিভিন্ন পক্ষের যোগসাজশে এননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপ নামের দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়ে এখন বিপাকে আছে ব্যাংকটি। এসব ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংকটির মোট ৯ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ।  

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এ বছরে প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকটির নিট লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। জুন মাস শেষে ২ হাজার ১৯৫ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি পড়েছে ব্যাংকটিতে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি জনতা ব্যাংক ক্রিসেন্ট গ্রুপের পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য নিলাম ডেকেছে। এননটেক্সকে দেওয়া সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের একটি অংশও খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।  

 

অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর