ছাত্রলীগ নেতার পাশে আওয়ামী লীগ নেতা

ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রানা

ছাত্রলীগ নেতার পাশে আওয়ামী লীগ নেতা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. তাওহিদুজ্জামান রানা ও দেড় বছরের শিশু আদনানের চিকিৎসার জন্য ৭০ হাজার টাকা দিলেন হংকং আওয়ামী লীগের সভাপতি, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ লিটন।

লিটনের বাবা বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ ছাদু কাল মির্জাপুর প্রেস ক্লাবে এসে রানার মা রেখা বেগমের কাছে ৫০ হাজার ও আদনানের দাদী রেজিয়া বেগমের কাছে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এর আগে লিটন রানার চিকিৎসায় আরও ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে রানার মা রেখা বেগম জানান।

জানা যায়, টাঙ্গাইল শাহজালাল (র.) মেডিকেল ইনস্টিটিউশন থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পাশ করা তাওহিদুজ্জামান রানা উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

তিনি ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। রানার বড় দুই বোন রয়েছে। এক বোনের বিয়ে দিয়েছেন। সংসারে রানার বড় এক বোন ও মা-বাবা রয়েছেন।

বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন পশুচিকিৎসক। গ্রামে গ্রামে গিয়ে পশুচিকিৎসা করে যা আয় করেন, তা দিয়েই সংসার চালাতে হয়।  

একদিকে সংসার চালানো, অন্যদিকে ছেলের চিকিৎসা- সব মিলিয়ে রানার পরিবার এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। তাওহিদুজ্জামান রানা বর্তমানে গলায় ও ঘাড়ে ক্যান্সারে (ননহসকিন লিস্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাবা আয়-রোজগার বন্ধ করে ছেলের সঙ্গে ভারতেই রয়েছেন।

রানাকে পর্যায়ক্রমে ৮টি কেমো থেরাপি দিতে হবে। প্রতিটি থেরাপিতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হবে। সে হিসাবে তার ৮টি কেমো থেরাপির জন্য প্রায় ১৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া থাকা, খাওয়া ও ওষুধ বাবদ আরও টাকার প্রয়োজন। এ পর্যন্ত রানাকে ২টি কেমো দেয়া হয়েছে বলে রানার বড় বোন আশরাফুন্নাহার জানিয়েছেন।
news24bd.tv
ছাত্রলীগ নেতা রানার মায়ের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন হংকং প্রবাসী লিটনের বাবা আবু সাঈদ ছাদু

এছাড়া রানার চিকিৎসার জন্য স্থানীয় এমপি একাব্বর হোসেন ৫০ হাজার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ১ লাখ ৮০ হাজার, মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর আসিফ অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাজেদুর রহমান ৮৫ হাজার, মির্জাপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ৩১ হাজার, আওয়ামী লীগ নেতা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সোলাইমান ২ লাখ, মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগ ৬৬ হাজার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন ১০ হাজার, সিঙ্গাপুর প্রবাসী শহিদুল ইসলাম ২০ হাজার, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মোমেন ২৫ হাজার টাকা পৌঁছে দেন বলে রানার মা রেখা বেগম নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রানার চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করেন।

রেখা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ যুদ্ধ করে চলছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। রানা সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসুক এই কামনা করি। ’


অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর