স্মার্ট এনআইডি কার্ড ভুলে ভরা!

ভুলে ভরা স্মার্ট এনআইডি কার্ড!

স্মার্ট এনআইডি কার্ড ভুলে ভরা!

যশোর প্রতিনিধি

যশোর পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বাচ্চু মিয়া স্মার্ট এনআইডি কার্ড হাতে পেয়ে খুশির পরিবর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানালেন, পূর্বের এনআইডি কার্ডে ভুল করে তার বয়স দেওয়া হয়েছিল ৩০ এপ্রিল ১৯৭১। প্রায় ৬ মাস আগে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী তিনি নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে বয়স সংশোধন করান। নতুন কার্ডে বয়স দেওয়া হয়েছিল ১৫ আগস্ট ১৯৭১। কিন্তু স্মার্ট কার্ডে সেই পূর্বের ভুল থেকেই গেছে।

একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ২০১১ সালে নিয়ম মেনে নামের বানান সংশোধন করান। কিন্তু স্মার্টকার্ডে রয়ে গেছে ভুল নামই।

এমন অভিযোগ স্মার্ট এনআইডি কার্ড নিতে আসা অসংখ্য মানুষের। তারা বলছেন, পূর্বের এনআইডি কার্ডে ঠিক থাকলেও নাম, পিতার নাম কিম্বা ঠিকানায় ভুল মিলছে স্মার্ট কার্ডে।

আবার অনেকেই নিয়ম মেনে সংশোধন করার পরও পূর্বের ভুলই থেকে যাচ্ছে তাদের স্মার্ট কার্ডে। এতে তাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

যশোর শহরের রেলরোড এলাকার শেখ সাহাব উদ্দিন জানান, নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম এসেছে শেখ সাহাবুদ্দীন (হান্নান)। এতে তিনি বিভিন্ন কাজে বিপাকে পড়ছেন।

শুধু বাচ্চু মিয়া কিম্বা জাহাঙ্গীর আলম, সাহাব উদ্দিন নয়; এমন অভিযোগ স্মার্ট এনআইডি কার্ড নিতে আসা অসংখ্য মানুষের। তারা বলছেন, পূর্বের এনআইডি কার্ডে ঠিক থাকলেও নাম, পিতার নাম কিম্বা ঠিকানায় ভুল মিলছে স্মার্ট কার্ডে। আবার অনেকেই নিয়ম মেনে সংশোধন করেও, হাতে পাননি সঠিক কার্ডটি।

খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী বলেন, স্মার্ট এনআইডি কার্ডে ভুল থাকলে তা নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুয়ায়ী ফি’সহ পরে সংশোধন করা যাবে। তবে নতুন করে হওয়া ভুলের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই পরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোরে প্রথম পর্যায়ে শুধু সদর উপজেলায় ৫ লাখ ১০ হাজার স্মার্ট কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া চলছে। গত ৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামি বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রিপন/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর