'ঢাকায় আরেকটা এয়ারপোর্ট দরকার'

'ঢাকায় আরেকটা এয়ারপোর্ট দরকার'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ঢাকার মত শহরে দ্বিতীয় একটি বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই না যে এয়ারপোর্টটা নষ্ট হোক। ঢাকা শহরে আরেকটা এয়ারপোর্ট আমাদের একান্তভাবে দরকার।  

শনিবার সকালে তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর এয়ার মুভমেন্টে ফ্লাইটের নতুন ভিভিআইপি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনে তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমানে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে তাদের হেলিকপ্টার, প্রশিক্ষণ বিমান, জেট বিমান ও বৃহদাকার পরিবহন বিমান পরিচালনা করে থাকে।

এ ছাড়া এখান থেকে জরুরি ত্রাণসামগ্রী বহনের জন্য বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে কেক কাটেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। তিনি সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। পরে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারে চড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তেজগাঁও বিমানবন্দরে অনেকের কুদৃষ্টি রয়েছে।

আমি বারবার বিমান বাহিনীকে সতর্ক করেছি, এই জায়গা নেয়ার জন্য সকলে কিন্তু হাত বাড়িয়ে বসে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ এর দশকে তখনকার ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করে। ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধ শেষে এটি বেসামরিক বিমানবন্দরে হিসেবে চালু হয়।

১৯৮১ সালে নতুন বিমানবন্দর চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত তেজগাঁও বিমানবন্দরই ছিল দেশের প্রধান বিমানবন্দর। বর্তমানে এ বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা যেন বেহাত না হয়। এই এয়ারপোর্ট কোনো দিনই বন্ধ হবে না। এটা বিমান বাহিনীর, বিমান বাহিনীরই থাকবে।

তিনি বলেন, আমি এটুকু সতর্ক করতে চাই যে, এটার ওপর অনেকের কিন্তু শ্যেন দৃষ্টি আছে। কখনো যেনো এটা নিতে না পারে, সেজন্য এটার ব্যবহার বাড়াত হবে। মাঝে মাঝে এখান থেকে প্লেন চালাতে হবে। যেন সকলে জানে, এটা ব্যবহার হচ্ছে। আমি যখন থাকব না, তখন এসে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে।

 

NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর