চৌকাঠ পেরিয়ে স্রোতের মতো ভেসে আসছিল রক্ত

প্রতীকী ছবি

চৌকাঠ পেরিয়ে স্রোতের মতো ভেসে আসছিল রক্ত

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

১০ ও ১৪ বছরের মেয়ে দুটিকে রেখে বাজারে মাংস কিনতে গিয়েছিলেন সাগরিকা। ফিরে দেখলেন দরজায় তালা দেওয়া। ঘর বন্ধ করে কোথায় গেল মেয়ে দুটি- এমন কথা ভাবতে ভাবতে চোখ গেল ঘরের বাইরের মেঝেতে। বুকের ভেতর ছ্যাৎ করে ওঠে সাগরিকার।

চৌকাঠ পেরিয়ে স্রোতের মতো ভেসে আসছে রক্ত। দরজা খুলতেই আঁতকে উঠলেন তিনি। পাশাপাশি দুটি ঘরে পড়ে আছে সীমা (১৪) ও পূজার (১০) গলাকাটা দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর।

রোববার সন্ধ্যায় ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দেভোগের বড়বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই পৌঁছায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

কিন্তু, কেন এমন ঘটনা ঘটলো? কে এমন নির্মমভাবে খুন করলো নিষ্পাপ মেয়ে দুটিকে? উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরইমধ্যে মেয়ে দুটির পিতা বিপ্লবকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবেশীসহ পুলিশের ধারণা, এ ঘটনায় বিপ্লব জড়িত থাকতে পারে। কারণ, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল সে। একইসঙ্গে সাগরিকার সঙ্গে বিপ্লবের ঝগড়া লেগেই থাকতো।

স্থানীয়রা বলছেন, বিপ্লব তেমন কোনো কাজ করেন না। ঠোঙা তৈরি করে সংসার চালান সাগরিকা। আর্থিক টানাটানিতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এদিন সন্ধ্যায় মাংস খাওয়ার বায়না করে দুই মেয়ে। সাগরিকার কথায়, ‘ব্রজলালচকে যাই মাংস কিনতে। ফিরে দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের বাড়ি যাই। প্রতিবেশীরা বলে, হয়তো মেয়েরা দরজা বন্ধ করে টিভি দেখছে। ফিরে দেখি দরজার ফাঁক দিয়ে জলের মতো ভেসে আসছে রক্ত। ’

দরজা খুলতে দেখা যায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া সীমা একটি ঘরে পড়ে আছে, মাথায় এবং গলায় কাটা দাগ। অন্য ঘরে পড়ে পূজা। তারও গলা এবং কানের পাশে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে বিপ্লবকে। আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পর্কিত খবর