ড্রোন নির্মাণে ইরান এখন পরাশক্তি

ইরানের ড্রোন ঘাঁটি

ড্রোন নির্মাণে ইরান এখন পরাশক্তি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ইরান ড্রোন শক্তির দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ চার-পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাজিজাদেহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার নিজের দেশের ড্রোন শক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি।

তিনি বলেন, সিরিয়ায় কিছুদিন আগে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের অবস্থানে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তাতে ইরানি ড্রোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এছাড়া, ইরানের হাতে বর্তমানে ইসরাইল ও আমেরিকার তৈরি বহুসংখ্যক ড্রোন রয়েছে এবং এসব ড্রোন বিভিন্ন সময় আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, আমেরিকার তৈরি এমকিউ-১, এমকিউ-২, এমকিউ-৯, শ্যাডো, স্ক্যানঈগল এবং আরকিউ-১৭০ ড্রোন আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ইসরাইলের তৈরি হারমেস ড্রোনও রয়েছে ইরানের হাতে।

‘২০১৪ সালে ইরানের ইস্ফাহান প্রদেশের নাতাঞ্জ পরমাণুকেন্দ্রে দিকে যাওয়ার সময় আইআরজিসি ইসরাইলের ওই ড্রোনটি ভূপাতিত করে।

আইআরজিসি’র কমান্ডার জেনারেল হাজিজাদেহ জানান, ইরানে তৈরি শাহেদ-১২৯ মডেলের ড্রোন ২৪ ঘণ্টার জন্য সিরিয়া ও ইরাকের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অবস্থানের ওপর দিয়ে উড়ছে। এ ড্রোনের সেবা নিচ্ছে সিরিয়া ও রাশিয়ার সেনারা এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাসহ অন্যরা।

উল্লেখ্য, ইরান বর্তমানে এক ডজনেরও বেশি মডেলের ড্রোন তৈরির কার্যক্রম পরিচালনা করছে যা গোয়েন্দাবৃত্তি থেকে শুরু করে সামরিক হামলার কাজে পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এসব ড্রোন উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গাষ্ঠী ও পারস্য উপসাগরে মোতায়েন মার্কিন যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে করছে বলে জানান জেনারেল হাজিজাদেহ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর