আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার
মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ও নীলক্ষায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আরও দুই জনের লাশ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের তীরবর্তী মেঘনা নদী থেকে কাউসার ও আব্দুল হাই নামে দুই জনের লাশ উদ্ধার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। এনিয়ে এই সংঘর্ষে মোট ৬ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।  

নিহতরা হল: বাশঁগাড়ী ইউপি সদস্য জয়নাল মেম্বারের ছেলে কাউসার (৩২) ও একই গ্রামের আব্দুল হাই (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বাঁশগাড়ি গ্রামের আবদুল্লাহ ফকিরের ছেলে স্কুল ছাত্র তোফায়েল রানা (১৬) নিলক্ষা ইউনিয়নের বাড়ীগাও গ্রামের সোহরাব (৩০) ও একই ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সোবান মিয়ার ছেলে স্বপন (২৭) ও মরম আলী (৪০) নিহত হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলায় চেয়ারম্যান সিরাজুল হকসহ একাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

এরই জের ধরে ১৬ই নভেম্বর শুক্রবার সকালে বাঁশগাড়ি গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক জামাল, জাকির ও সুমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়। পরে দুপুরে এই সংঘর্ষ পাশ্ববতী ইউনিয়ন নিলক্ষায় বিবাধমান দুইটি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ একাধিক ব্যাক্তিকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়।  ওই সময় তৎক্ষনিক ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক।

ঘটনার ৭দিন পর বিকেলে গোপিনাথপুর মেঘনানদী তীরবত্তী এলাকায় দুই জনের লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতেদের লাশ উদ্ধার করে।  

এদিকে হত্যার ঘটনায় রায়পুরা থানায় দুইটি হত্যামামলা ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা সহ মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ১৩ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রায়পুরা থানার ওসি  মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মেঘনা নদী থেকে দুইটি লাশ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই দল গ্রামবাসির সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা তাদের হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর