কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস খেয়ে আসুস্থ ৪

কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস খেয়ে অসুস্থ

কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস খেয়ে আসুস্থ ৪

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস খেয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ১২ নম্বর ডিগ্রি এলাকার বাজারে কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস ৪০০ টাকা কেজি মূল্যে বিক্রি করা হয়। ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড (১২ নম্বর ডিগ্রি ও গাব্বুনিয়া) আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিল ফরাজী এই গরুর মাংস বিক্রি করেন।

সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেই গরুর মাংস খাওয়া কমপক্ষে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে গুরুতরদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে গলাচিপা ও পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড (১২ নম্বর ডিগ্রি ও গাব্বুনিয়া) ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মৃধা বলেন, ‘কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস খলিল ফরাজী বাজারে বিক্রি করছে।

ওই গরুর মাংস খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিল ফরাজী।

তিনি বলেন, ‘আমি গরুর মাংস বিক্রি করি নাই। ফেলাবুনিয়ার রত্তন খোনারের ছেলে জুরান খোনার তার গরু নিজেই জবাই দিয়া ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। ওই গরু জবাই দেওয়ার সময় আমি ছিলাম। পরে শুনছি, ওই গরু নাকি কুকুরে কামড়াইছে। ’

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অসুস্থ্য গরুর মাংস ভালো করে রান্না করে খেলে সমস্যা নেই। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগে অসুস্থ হতে পারেন তারা। ’

রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘বিষয়টি এখনও জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)