২ ভাগ্নেকে পিটিয়ে মারলেন মামা

স্বজন হারানোর বেদনা

২ ভাগ্নেকে পিটিয়ে মারলেন মামা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

‘মামা-ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে’ গ্রাম-বাংলার জনপ্রিয় এ প্রবাদটি অনেকেরই জানা। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ঘটেছে তার উল্টো। মামা তার দুই ভাগ্নেকে দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারী ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- মিল্টন হোসেন (৩২) ও কাউছার হোসেন (২৩)। নিহত দুই ভাই উপজেলার পূর্ব কোদালিয়া দক্ষিণপাড়ার আন্তাজ আলীর ছেলে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্টন মারা যান। এর আগে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান ছোট ভাই কাউছার হোসেন (২৩)।

নিহতদের চাচা জয়নাল আবেদীন জানান, ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে কাউছারকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বকুল ও তার স্বজনেরা। সেখানে তাদের মধ্যে বিবাদমান জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামা বকুল, মামিসহ স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কাউছারকে বেধড়ক মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে বড় ভাই মিল্টনসহ স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় কাউছার ও মিল্টন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধারের পর প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পরে ঢাকা নেওয়ার পথে কাউছারের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিল্টনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর একটার দিকে তিনিও মারা যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চৌহালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারী ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর