শতাধিক নারীকে যৌন হয়রানি করেছে আধ্যাত্মিক গুরু!

ব্রাজিলের গুরু ‘জন অফ গড’

শতাধিক নারীকে যৌন হয়রানি করেছে আধ্যাত্মিক গুরু!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

তিন শতাধিক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ব্রাজিলের এক ‘আধ্যাত্মিক গুরুর’ বিরুদ্ধে। পরে প্রাণে বাঁচতে ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক যৌন হয়রানির মামলায় শনিবার দুপুর দুটার মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ‘জন অফ গড’ নামে পরিচিত ওই আধ্যাত্মিক গুরুকে।

তবে বিকেল নাগাদ কোনো হদিস না মেলায় তিনি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্লোবোনিউজে সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনে ফারিয়ার আইনজীবী আলবার্তো তোরোন বলেছেন, তার মক্কেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তবে কখন কোথায় তা তিনি বলেননি।

২০১৩ সালে ‘আধ্যাত্মিক শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে। ওই প্রতিবেদনের পর আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

ব্রাজিলের মধ্যাঞ্চলের ছোট শহর আবাদিয়ানায় ১৯৭৬ সালে আশ্রম গড়ে সেখানে কথিত ওই চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন ফারিয়া। হাজার হাজার ব্রাজিলিয়ান ও বিদেশিরা তার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

ফারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে জাহিরা লিনেকে মাউস নামে একজন ডাচ আলোকচিত্রী গ্লোবো টিভিকে বলেছেন, তাকে ফুঁসলিয়ে যৌনতায় সম্পৃক্ত করার পর ধর্ষণ করেন তিনি।

তবে ফারিয়ার অফিস থেকে এক বিবৃতিতে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী ফারিয়া তার ‘আধ্যত্মিক ক্ষমতা’ প্রয়োগ করে হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা করেছেন। চিকিৎসার সময় কোনো ধরনের খারাপ আচরণ তিনি করেননি।

এদিকে নাম প্রকাশ না করে ব্রাজিলের নয়জন নারীও গ্লোবো টিভির কাছে আশ্রমে চিকিৎসার সময় তাদের যৌন হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) আশ্রমে অনুসারীদের সামনে বক্তব্যে অভিযোগ অস্বীকার করেন ফারিয়া। আইনগতভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করবেন বলে সে সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

ফারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হতে পারে, যার শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। এছাড়া অসুস্থ নারীকে ধর্ষণের জন্য ১৫ বছরের সাজাও হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর