ভারত-চীন সীমান্ত ঘেঁষা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতে সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে চীন। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাস্তা, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানবন্দর সব ক্ষেত্রেই দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হচ্ছে। চীনের এই সামরিক তৎপরতা নজরে আসার পর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে ভারতও।
এরই মধ্যে সীমান্তে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, ভুটানের ডোকলামে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই চীন সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলছে ভারত।ভারতের সেনা গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সামরিক ও বেসামরিক প্রকল্পের সমন্বয়ে নতুন ধারার পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে চীন। ভারত-চীন সীমান্ত থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে শিনিং-এ একটি বিশাল বিমানবন্দর তৈরি করছে তারা।
এই তিনটি বিমানবন্দরই ভারত সীমান্তের খুব কাছে। এটি মূলত বেসামরিক প্রকল্প হলেও প্রয়োজনে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে পিপলস লিবারেশন আর্মি বা চীনের সেনারা।
পরিস্থিতি বুঝে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নয়াদিল্লিও। উত্তর-পূর্ব ভারতে আরও ছয়টি ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা বসানোর কথা ভাবছে ভারত।
রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনা হলে সেগুলো উত্তর-পূর্ব ভারতে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ফ্রান্সের কাছ থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করা হবে ওই অঞ্চলেই। অর্থাৎ চীনের বিষয়টি মাথায় রেখে বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।
NEWS24▐ কামরুল