শীতের সময় কন্ঠস্বর বসা বা ভেঙে যাওয়া স্বাভাবিক একটি ঘটনা। অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটি দেখা যায়। তবে ঠাণ্ডা ছাড়াও শ্বাসনালীতে ইনফেকশন বা সংক্রমণের কারণে স্বর বসে যেতে পারে। এ অবস্থায় সুস্থ হয়ে উঠতে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে।
গলার স্বরের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে প্রথমেই কথা বলা কমিয়ে দিতে হবে। সম্ভব হলে কথা বলা বন্ধ করে দিন। দেখবেন স্বস্তি পাচ্ছেন এবং এতে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার স্বর স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
ঠাণ্ডার কারণে গলা বসে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
তবে এমন সব চিকিৎসাও অনেক সময় কাজে দেয় না। দিনের পর দিন কন্ঠ স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না, স্বর বদলে যায়। ফ্যাসফ্যাসে আওয়াজ হয়। এ ধরণের পরিস্থিতিকে সব সময় বিপদের লক্ষণ হিসেবে ধরতে হবে।
কন্ঠ একবার বসে যাওয়ার পর চার সপ্তাহ বড় জোর ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দেরি করা যায়। চিকিৎসকরা মনে করেন, কারও গলা ভাঙ্গা যদি ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে তাকে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ধরনের স্বর বসে যাওয়া অনেক সময়ই মারাত্মক রোগের লক্ষণ হয়ে আসে।
তবে প্রাথমিকভাবে ঘরেই নিতে পারেন কিছু চিকিৎসা- যেমন লবঙ্গ মুখে রাখতে পারেন। তবে দীর্ঘক্ষণ লবঙ্গ মুখে রাখলে সেটি জিহ্বার চামড়া পুড়িয়ে দিতে পারে। গরম পানিতে লবঙ্গ দিয়ে সেই পানি মুখে দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন।
আদা, মধু, তুলশি পাতার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। এতে এক টুকরো আদা (দুই ইঞ্চি), এক মুঠো তুলশি পাতা ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এটি তৈরি করে সারাদিন চা বা গরম পানি দিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
NEWS24▐ কামরুল