পুলিশের সঙ্গে আসামি পক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ছবি সংগৃহীত

পুলিশের সঙ্গে আসামি পক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আসামি পক্ষের সংঘর্ষে গুলাগুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়ি। শনিবার রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

 

নিহত আশিকুর রহমান (২৫) মদনপুরের চানপুর এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। আশিকুর রহমান মদনপুরের প্যানডেক্স গার্মেন্টের শ্রমিক বলে জানা গেছে।

জানা যায়, শনিবার রাতে মদনপুর এলাকার ড্রিমল্যান্ড নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নূর নবী ও রিফাত নামের দুই যুবককে আটক করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় খলিল মেম্বারের লোকজন এসে পুলিশকে ঘিরে রাখে।

তারা আটক দুইজনকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে।  

এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এসময়ে আমির হোসেনের লোকজন পুলিশের পক্ষ নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মদনপুর এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান ও তার পক্ষের লোকজনও পুলিশকে ধাওয়া করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ার সেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় ওই পক্ষও গুলি ছুড়ে। সেসময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল।  

সংঘর্ষে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, মোহনসহ ৪ জন আহত হন। এতে স্থানীয় ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বাবু নামের এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আশিকুরের পরিবারের লোকজনের ভাষ্য, আশিকুর বিকেলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর সন্ধ্যায় বাজার গেলে সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ হারায়।

বন্দর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, আসামী ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আসামি পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি হয়। এসময় চার পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।


NEWS24▐ Kamrul 

সম্পর্কিত খবর