সাংসদ কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা, ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি

কেয়া চৌধুরী। -ফাইল ছবি

সাংসদ কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা, ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুরে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর একটি সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অসুস্থ হয়ে পড়েন কেয়া চৌধুরী। তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার তিতারকোনা বেদেপল্লিতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী ওই হামলা চালিয়েছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এ ঘটনার পরপরই সাংসদের নির্ধারিত অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

জানা যায়, বেদে পরিবারের ২১ জন সদস্যের হাতে সরকারি অনুদান তুলে দেওয়ার জন্য আজ বিকেলে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার তিতারকোনা বেদেপল্লিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা সমাজসেবা অফিস।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। কিন্তু তাঁকে অতিথি করার কারণে অনুষ্ঠানে বাধা দেন বাহুবল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাঁরা মিয়া। বাধা পেয়ে সমাজসেবা কার্যালয় নির্বারিত স্থানে অনুষ্ঠান না করে একই উপজেলার মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয়।

সেখানে অনুষ্ঠান শেষে কেয়া চৌধুরী বেদেপল্লি পরিদর্শনে গেলে বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. তারা মিয়া এবং হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউর রহমান শাহেদের নেতৃত্বে একদল লোক কেয়া চৌধুরীকে বেদেপল্লিতে প্রবেশে বাধা দেন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁরা সাংসদ কেয়া চৌধুরীকে ধাক্কা দেন। এ সময় মাটিতে পড়ে আহত হন কেয়া চৌধুরী। এ সময় অন্যরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বাহুবল সমাজসেবা কর্মকর্তা নুসরাত এলাহী বলেন, তিতারকোনা বেদেপল্লির লোকজনের সহায়তার জন্য কেয়া চৌধুরী সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। তাঁর এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এ বেদেপল্লির ২১ সদস্যকে পাঁচ হাজার টাকা করে বিশেষ অনুদান বরাদ্দ দেয়। এ অনুদানের চেক হস্তান্তর করতেই তাঁরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।

হামলার ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া বলেন, ৪ নভেম্বর বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। কিন্তু কেয়া চৌধুরী তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন। এছাড়া আজকের অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দাওয়াত করা হয়নি। তাই ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন। তবে কেউ তাঁর ওপর হামলা করেনি।

এদিকে হামলার পর এক পথসভায় ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময় অজ্ঞান হয়ে পড়েন কেয়া চৌধুরী। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বাহুবল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখছেন কেয়া চৌধুরী:

সম্পর্কিত খবর