তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিহত মিতালি

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গৃহশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটক শিক্ষকের নাম- মংবাচিং মারমা (৩৬)।

রোববার সকালে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী বরখোলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের বরখোলা পাড়ার সাথুই অং মারমা মেয়ে পূর্ব কোদালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মিতালী মারমাকে (৯) পড়াতো ওই এলাকার গৃহ শিক্ষক মংবাচিং মারমা (৩৬)।

প্রতিদিনের মতো আজও সে ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যায়। কিন্তু বিদ্যালয়ের সময় পাড় হয়ে গেলেও মিতালী আর বাড়ি ফিরে যায় না। মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তার বাবা তাকে খুঁজতে যায় গৃহ শিক্ষকের বাড়ি। কিন্তু শিক্ষক তার বাবাকে বলে অনেক আগে ছুুটি দিয়ে দিয়েছি, সে চলে গেছে।
এ কথা শোনার পর আশেপাশে খুঁজাখুঁজি শুরু করে মিতালীর বাবা। কোথাও খুঁজে না পেয়ে গৃহ শিক্ষককের বাড়ি পাহাড়া দিয়ে বসে থাকে তার পরিবার ও স্থানীয়রা।

অন্যদিকে সুযোগ বুঝে মৃত মিতালীকে বস্তাবন্দী করে পূর্বকোদালা নামক এলাকার জঙ্গলে ফেলে দিতে যায় তারই শিক্ষক মংবাচিং মারমা। এসময় এলাকাবাসী তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

স্থানীয়রা ধারণা করছে, পড়তে যাওয়ার পর একা পেয়ে কোনো এক সময় সুযোগ বুঝে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ওই ঘাতক শিক্ষক।

মিতালীর বাবা সাথুই অং মারমা অভিযোগ করে বলেন, মিতালীকে স্থানীয় অং শৈ প্রু মারমার বাসায় পড়াতো গৃহ শিক্ষক মংবাচিং মারমা। সে পড়তে গিয়েছিল, কিন্তু লাশ হয়ে ফিরল। তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বলতে পারছি না। কিন্তু আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. ছুফি উল্লাহ জানান, কাপ্তাইয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গৃহ শিক্ষক মং বাচিং মারমাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে নিহত মিতালি মারমার লাশ রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মুমু/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর