তামিমের কুমিল্লার হাতেই উঠল শিরোপা

ছবি সংগৃহীত

তামিমের কুমিল্লার হাতেই উঠল শিরোপা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ব্যাট করতে নেমে ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দিচ্ছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। উপুল থারাঙ্গার পর দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন রনি তালুকদার। তবে তিনি ফিরতেই পথ হারায় রাজধানীর দলটি।

পরে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট হারিয়েছে ঢাকা।

শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮২ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে সাকিব বাহিনী। এতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ১৭ রানের দুর্দান্ত জয়ে বিপিএল ষষ্ঠ আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

এ নিয়ে দুইবার বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা। এর আগে ২০১৫-১৬ আসরে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে দলটি।

২০১৯ আসরে তাদের ক্যাবিনেটে শিরোপা তোলার মূল কারিগর তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে হার না মানা ১৪১ রানের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টে সুপারম্যানের মতো দুটি ক্যাচ ধরেছেন তিনি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। শূন্য রানেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অসাধারণ থ্রোতে রানআউটে ফিনিশ হন সুনিল নারাইন। দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন উপুল থারাঙ্গা। ক্রিজে সেট হওয়া মাত্রই ঘোরাতে শুরু করেন ছড়ি। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে সাইফ-পেরেরা-মেহেদীদের ঘাম ঝরান তারা। এতে দুরন্ত গতিতে ছোটে ডায়নামাইটসরা।

তবে আচমকা থেমে যান দুর্দান্ত খেলতে থাকা থারাঙ্গা। ফেরার আগে ২৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন লংকান ওপেনার। থিসারা পেরেরার বলে দ্বাদশ খেলোয়াড় আবু হায়দার রনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে তালুকদারের সঙ্গে গড়েন শতরানের উড়ন্ত জুটি।

পরে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ওয়াহাব রিয়াজের বলে তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেই জের না কাটতেই এনামুল হকের অসাধারণ থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন রনি। এর আগে বইয়ে দেন রানের নহর। মাত্র ৩৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি।

রনি ফিরতেই পথ হারায় ঢাকা। এর রেশ না কাটতেই পেরেরার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আন্দ্রে রাসেল। এতে চাপে পড়ে ডায়নামাইটসরা। এর মধ্যে রিয়াজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে কাইরন পোলার্ড ফিরলে চাপটা দ্বিগুণ হয়। এ পরিস্থিতিতে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারেননি শুভাগত হোম। সাইফের বলে পেরেরাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

বাকি সময়ে আর চাপ কাটিয়ে পারেনি ঢাকা। রিয়াজের বলে নুরুল হাসান ফিরলে জয়ের প্রহর গুনতে শুরু করে কুমিল্লা। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাইফের বলে মাহমুদুল হাসান ফিরলে জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮২ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা।

এতে ১৭ রানের বিজয়োল্লাসে মাতেন তামিমরা। ৩ উইকেট নিয়ে কুমিল্লা জয়ে বড় অবদান রাখেন ওয়াহাব রিয়াজ। ২টি করে উইকেট নেন সাইফ ও পেরেরা।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রানের ফোয়ারা ছোটান তামিম। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে সাকিব-রাসেল-রুবেলদের করেন কচুকাটা।

তাদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে তুলে নেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। তার টর্নেডো ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ঢাকা ডায়নামাইাটসকে ২০০ রানের টার্গেট দেয় ইমরুল বাহিনী।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর