একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘অনিয়ম’ ও ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ এনে ৬৪ জেলা থেকে একজন করে ৬৪ জন ধানের শীষের প্রার্থী হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এসব প্রার্থীর সঙ্গে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্কাইপিতে লন্ডন থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠক করেছেন। বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দল থেকে ৬৪ জেলা থেকে ৬৪ জন ধানের শীষের প্রার্থীকে মামলা করতে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের মধ্যে ভোলা থেকে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বরিশালের জহির উদ্দিন স্বপন, পিরোজপুরে রুহুল আমিন দুলাল, খুলনায় রকিবুল ইসলাম বকুল, সাতক্ষীরায় হাবিবুল ইসলাম হাবিব, পটুয়াখালীতে এবিএম মোশাররফ হোসেন, মাগুরায় নিতাই রায় চৌধুরী, যশোরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, পাবনায় হাবিবুর রহমান হাবিব, সিরাজগঞ্জে আমিরুল ইসলাম খান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. শাহজাহান মিয়া, ঝিনাইদহে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঝালকাঠি জীবা আমিন খান, জামালপুর শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, ময়মনসিংহে আবু ওহাব আকন্দ, নেত্রকোনা আনোয়ারুল হক, কিশোরগঞ্জ শরীফুল আলম, ঢাকা ইরফান ইবনে আমান অমি, ফরিদপুরে শামা ওবায়েদ, হবিগঞ্জে জিকে গউছ, কক্সবাজার থেকে লৎফুর রহমান কাজল মামলা করবেন। বাকি জেলা থেকেও মামলা করার জন্য একজনকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড।
জানা গেছে, শনিবার কয়েক দফায় প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। প্রায় প্রত্যেক নেতাই নির্বাচনের আগে, ভোটের দিন ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেয়া এক নেতা বলেন, বৈঠকে নেতারা নির্বাচনে নানা অনিয়মের চিত্র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরেন। বিএনপি গণহারে মামলা করবে না বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের জানান।
এক্ষেত্রে প্রত্যেক জেলায় একজন করে ৬৪টি জেলা থেকে মোট ৬৪ জন প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ মামলা করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের মামলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)