বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পত্র-পত্রিকায় খবরটি দেখে চমকে উঠলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন-রাজনীতি থেকে অবসরগ্রহণ করে বাকি জীবনটা তার পূর্বপুরুষের টুঙ্গীপাড়ার গ্রামে কাটাবেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো- খুব ভালো খবর। জনগণ সেই মাহেন্দ্র দিনের ক্ষণ গণনা শুরু করেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী বলেন, আমরা সেই তারিখটা জানতে চাই। কবে আসবে সেই সুখবর যে আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। কারণ এর আগে ১৯৯৬-২০০১ এ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আপনি ঘোষণা করেছিলেন-৫৭ বছর বয়সে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন।
‘দেশের জনগণ আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনার কোনো কথার সত্যতা খুঁজে পায়নি। মানুষ এখন মনে করে তিনি যেটা বলেন, করেন সেটির উল্টোটা। আমরা দেখেছি তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রসিকতা করেন, কখনো কাঁদেন, কখনো হাসেন, কখনো গান করেন। হরেক রকমের কথা বলেন। তিনি মদিনা সনদে দেশ পরিচালনার অঙ্গীকার করেন। মানুষের বিশ্বাসের জায়গাটা পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ’
তিন বলেন, আমরা বিনীতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো- আপনি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করুন। খুব তাড়াতাড়ি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
বর্তমান সরকার রোজ কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা রিজভী।
বলেন, ২৯ ডিসেম্বর নিশীথ রাতে ভোট ডাকাতি করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী জোট ক্ষমতা দখলের পর তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা আত্মগ্লানি দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা বেপরোয়াভাব সব সীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা একের পর এক নির্লজ্জ বেহায়ার মতো লাগামহীন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত মিড নাইট সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)