পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হলে এর নিয়ন্ত্রণ কারও হাতে থাকবে না। তাই আবারও বলছি, আসুন আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান করি।
এয়ার ফোর্স (পিএএফ) লাইন অব কন্ট্রোল(এলওসি) পার হওয়া দুটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমান ভূপাতিত করার পর তিনি এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার বিকেলে পাকিস্তানের জনগণ এবং ভারতের নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়ার বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের শিবিরে হামলা চালিয়ে তিন শতাধিক জঙ্গি নিহত করে বলে দাবি করে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
গতকাল সকাল থেকে এ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলোর বিষয়ে আমি পাকিস্তানের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই। পুলওয়ামা হামলা নিহতদের পরিবারের কষ্ট অনুভব করে আমি হাসপাতালে গিয়ে আহতদেরকে দেখে এসেছি। হামলার ঘটনা তদন্তে আমি ভারতকে সহযোগিতা করার কথা জানাই।
পিএএফ পাকিস্তানের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য বুধবার সকালে এলওসি পার হওয়া দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করে এবং দুই পাইলটকে আটক করে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে মাটি ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাক তা আমাদের স্বার্থ-বিরোধী। তাই আমি আলোচনার আহ্বান জানাই। কিন্তু আমার আশঙ্কা ছিল যে ভারত হামলা চালাতে পারে। আমি সতর্ক করে বলেছিলাম যদি পাকিস্তানে হামলা করা হয়, তবে তার জবাব দেয়া হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল যখন ভারত হামলা করে, তখনই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি আমি এবং সেনাপ্রধান। আমি তাড়াহুড়ো করে কোনও জবাব দিতে চাইনি। আজ আমরা যা করেছি, তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদেরকে বোঝানো যে তারা যেটা করতে পারে, আমরাও সেটা করতে পারব।
তিনি বলেন, সব যুদ্ধেই মানুষের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কারণ কেউ জানে না যুদ্ধ শুরু হলে কোথায় গিয়ে থামবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই যুদ্ধ শেষ হতে ছয় বছর লেগে যায়। যুক্তরাষ্ট্রও ভাবেনি যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ ১৭ বছর ধরে চলবে।
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ও আমাদের যে অস্ত্রগুলো আছে তা দিয়ে আমরাও যুদ্ধ শুরু করার মতো ভুল করতে পারি। কিন্তু এই ভুলের পরিমাণ যদি বাড়তেই থাকে, তবে তার নিয়ন্ত্রণ মোদি বা আমার কারও হাতেই থাকবে না। তাই আমি আবারও আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)