ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদসহ দুটি মসজিদে হামলায় নিহত ৪০ জনের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে জানা গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছুড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান জানান, দুজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে শুনেছি।
তবে তাঁদের নাম–পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গুলিবর্ষণের ঘটনায় আহত দুই বাংলাদেশি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও দুজন বাংলাদেশি নিখোঁজ আছেন বলে জানতে পেরেছি। হতাহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিউজিল্যান্ড সরকারের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুম্মার নামাজের সময় আল নূর নামের ক্রাইস্টচার্চের ওই মসজিদে বন্দুকধারী হামলা চালায়। সন্ত্রাসী হামলায় মসজিদে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এসময় লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া বাংলাদেশ দলের সবাই মাঠে অনুশীলনে ছিলেন। অনুশীলন শেষে তাঁরা ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ে যান। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় একজন তাঁদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। বলেন, এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা এ সময় দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। হামলার পর ওই বন্দুকধারী জানালার কাঁচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যায়। বন্দুকধারীর হাতে অটোমেটিক রাইফেল ছিল।
মসজিদটি ছাড়াও এছাড়া আশপাশের বেশ কয়েকটি স্কুলেও গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। এসব ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন তা বলতে পারেননি কেউ।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)