ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে হামলায় ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আল নূর মসজিদে ৪১ জনকে হত্যার পর লিনউড মসজিদে হামলা করে অস্ত্রধারী। সেখানে ৬০/৭০ জন মুসল্লি থাকলেও নিহত হন মাত্র সাতজন। এর কারণ হচ্ছে হামলাকারীর হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বাকিদের প্রাণ রক্ষা করেন এক যুবক।
সেই যুবকের সাহসিকতার গল্প নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বর্ণানা করেছেন ওই হামলা থেকে বেঁচে ফেরা সৈয়দ মাজহার উদ্দিন নামের এক মুসল্লি।বেঁচে ফেরা সৈয়দ মাজহার উদ্দিন দাবি করেন, সাহসী ওই তরুণ লিনউড মসজিদের খাদেম। তিনি যদি হামলাকারীর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াতেন, তাহলে সেখানে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।
তিনি বলেন, মসজিদে হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনে লোকজন ভয়ে চিৎকার এবং ছোটাছুটি শুরু করে।
মাজহার উদ্দিন আরও জানান, এ সময় সুযোগ বুঝে মসজিদের তরুণ সেই খাদেম বন্ধুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার অস্ত্র কেড়ে নেয়। তারপর সে হামলাকারীকেও ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু অস্ত্রের ট্রিগারটা সে খুঁজে পাচ্ছিল না। হামলাকারী যখন দৌড়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায় তখন ওই তরুণও তার পিছু নেয়। কিন্তু বাইরে অপেক্ষায় থাকা একটি গাড়িতে উঠে পালিয়ে যাওয়ায় বন্দুকধারীকে ধরতে পারেনি সে।
তিনি আরও জানান, এই হামলার ঘটনায় তার সামনেই একজন বন্ধুর বুকে এবং আরেকজনের মাথায় গুলি লাগে। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত আরেকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভেতরে রেখে ইমার্জেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
‘আমি যখন দৌড়ে বাইরে এলাম, পুলিশ তখন মসজিদে ঢুকল। ওরা আর আমাকে ভেতরে যেতে দেয়নি। আমি আর আমার বন্ধুকে বাঁচাতে পারলাম না, তার খুব রক্ত ঝরছিল। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্স আসে। আমি মনে করি, এর মধ্যে আমার অপর বন্ধুটিও মারা গেছে। ’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)