'রাঙামাটিতে হামলা আঞ্চলিক সমস্যার কারণে'

ছবি সংগৃহীত

'রাঙামাটিতে হামলা আঞ্চলিক সমস্যার কারণে'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে হতাহতের ঘটনা আঞ্চলিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, পাহাড়ের উপর থেকে দুষ্কৃতকারীদের অতর্কিত গুলবর্ষণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাতজন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।

নৃশংস ও বর্বর এই হামলায় নির্বাচন কমিশন মর্মাহত। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সাতজন ও বাকিদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বাঘাইছড়িতে নিরাপত্তাব্যবস্থা যথেষ্ট ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। তবে যে চোরাগোপ্তা হামলা হয়েছে, এত বড় দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কখন এ জাতীয় চোরাগোপ্তা হামলা ঘটে সে রকম হিসাব ছিল না।

বিষয়টি আন্দাজ করাও একেবারে সম্ভব নয়।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, একেবারেই পরিকল্পিতভাবে এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে এই হামলাটি হয়েছে। ওই শহরে বিজিবির যে নিরাপত্তা বহর ছিল, তাদের পক্ষে ওই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করা সম্ভব নয়। তবে তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি ছিল বলে মনে করি না। তারা ঘটনার পরপরই তড়িৎ গতিতে ওই এলাকা তল্লাশি করেছে।

তিনি বলেন, ভোট বর্জনের পর কমিশনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কারণে তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি। আগেও অনেকে ভোট বর্জন করেছেন। তবে বর্জনের পর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা বলা যায় না।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিইসি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কমিশন তাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ১ লাখ বা ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়া নিহতদের পরিবারের কেউ যদি চাকরিযোগ্য থাকে এবং নির্বাচন কমিশনে যদি সুযোগ থাকে তাহলে তাদের চাকরি দেয়া হবে।


 

সম্পর্কিত খবর