আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার ঘটনায় আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দের কর্মীদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ২৯জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০ থেকে ১৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ শনিবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ মোল্লা জানান, ‘ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় আনারস প্রতীকের সমর্থক ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ’পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল হাই আকন্দ। এরপর আনারস প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলা, প্রচারণা ক্যাম্প ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে শতশত কর্মী-সমর্থক শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মিছিলটি শহরের আটানীবাজার ছোট মসজিদের সামনে গেলে সেখানে নৌকা প্রতীকের সমর্থক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে থাকা লোকজনের মুখোমুখি হয়।
এ ঘটনায় দুপক্ষই থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ নৌকার কর্মী আব্দুর রাজ্জাকের দায়ের করা অভিযোগটি শনিবার রাতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
রাতেই পুলিশ খিলবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশীদ মেম্বার এবং আনারসের কর্মী ও টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মুশফিকুর রহমান মশিউরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাশেমপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন বাদশাকে গ্রেপ্তার করে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নোমান/তৌহিদ)