‘ধোয়ার কারণে এত মৃত্যু’

বাঁয়ে স্টেশন অফিসার আরিফুল

‘ধোয়ার কারণে এত মৃত্যু’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বনানীর আগুনে নিহতদের লাশ উদ্ধারের কথা জানলেন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল হক। তিনি একাই ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছেন বলে জানান। ঘটনার পর থেকে এফআর টাওয়ারের প্রতিটি তলায় গেছেন অন্তত ১০ বার।

তিনি বলেন, একটু আগেও তিনি এই ভবন ঘুরে এসেছেন।

এফ আর টাওয়ারের তিনটি লিফট আছে। এর মধ্যে দুটি লিফট খোলা আছে অন্য লিফটটি বন্ধ ছিল।

তিনি প্রথমে একজন পুরুষের লাশ বাথরুম থেকে উদ্ধার করেন। লাশটি উপুড় হয়ে পড়েছিল বলে তিনি জানান।

এরপর দুজন নারীর লাশ ভবনের সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করেন তিনি। ভবনের মেঝে থেকে আরও পুরুষের লাশ উদ্ধার করেন আরিফুল। আরিফুল এরপর এফ আর টাওয়ারের ছাদ থেকে উদ্ধার করেন আরও এক ব্যক্তির লাশ।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, নিজে হাতে তিনি ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছেন। মোট ১২টি লাশ উদ্ধারের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুড়ে যাওয়া এফআর টাওয়ারের সামনে যখন লাশ উদ্ধারের কথা জানাচ্ছিলেন তখন আরিফ নিজেই কেঁপে উঠছিলেন। আরিফুলের ধারণা, তিনি যাদের লাশ উদ্ধার করেছেন, তাঁরা ধোয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে দেখা যায়, এফ আর টাওয়ারের সামনের সড়কে পড়ে থাকা গ্লাসের টুকরা পরিষ্কার করছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, সকালে এফ আর টাওয়ার আবার তল্লাশি চালানো হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভবনটির ৯তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। সেই সঙ্গে বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে হেলিকপ্টার থেকে বালু ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হয়। এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি), মোটরসাইকেল ইউনিট, ৫টি হেলিকপ্টার ও সেনাবাহিনীসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর