উৎসুক জনতার এতো কাণ্ডজ্ঞানহীনতার মধ্যেই একটি ছবি নজর কেড়েছে সকলের। এক শিশু ফায়ার সার্ভিসের ফাটা পাইপ দিয়ে বের হয়ে যাওয়া পানি আটকে রাখার চেষ্টা করছিল। তার চোখেমুখে চরম উদ্বিগ্নতার ছাপ স্পষ্ট। দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ছবিটি।
নাঈম জানায়, আমি কোনো ভয় পাইনি, ওই সময় আল্লার কাছে সবাই দোয়া করছিল ভেতরের মানুষগুলা যেন বাঁচে। আমিও চাইছিলাম ছোট একটু সাহায্য করে যদি কাউকে বাঁচানো যায়।
শুক্রবার দুপুরে বনানীর সেই এফআর টাওয়ারের সামনে আবার এসেছিল শিশু নাঈম। এসময় তার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, তার নাম মো. নাঈম ইসলাম।
নাঈম জানায়, তার বাবা রুহুল আমিন বনানীতে ডাব বিক্রি করেন। মা বাসা বাড়িতে কাজ করেন। বাবার বনানীতে ব্যবসা, সেই তাড়নাতেই আগুনের খবর শুনে বনানীতে ছুটে আসে সে। আসার পর ভিড় ঠেলে আগুন লাগা এফআর টাওয়ারের সামনে চলে আসে।
এরপর ভবনের গ্লাস ভাঙা টুকরো পরে পাইপ কেটে যায় এবং তা থেকে পানি বের হয়ে যাচ্ছে। তখন নিজ তাড়নাতেই রাস্তার পাশে পলিথিন নিয়ে ফায়ার সার্ভসের পাইপ ধরে অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা করে নাঈম।
বনানীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মরেছেন ২৫ টি তাজা প্রাণ। আগুন লাগার পর থেকেই ভবনে অবস্থান করা মানুষগুলো যখন জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিল, তখন নিচে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন হাজারো মানুষ। অনেকে ছবি তুলে কিংবা ভিডিও করে পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তখন শিশু নাঈম নিজেই সামর্থের সবটুকু দিয়ে কাজ করেছেন কোনো প্রকার ভয় ছাড়াই।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)