হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালাল ভ্যানচালক!

গৃহবধূর লাশ

হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালাল ভ্যানচালক!

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এক গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়েছে ভ্যানচালক। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে পরিকল্পিতভাবে কেউ হত্যা করে হাসপাতালে রেখে গেছে বলে দাবি করেছে গৃহবধূর পরিবার।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে মাদারীপুর কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকার ওয়াহেদ আলী সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের সঙ্গে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা এলাকার মো. শাহ আলমের মেয়ে মুক্তা বেগমের (২৫) গোপনে বিয়ে হয়।

মুক্তা প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে মাসুদ সরদারকে বিয়ে করেন। কিন্তু মুক্তার বাবা-মা দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নেয়নি। ফলে তিন মাস ধরে মুক্তা তার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কাটিয়েছে। ঘটনার দিন রাতে তার আত্মীয় মাদারীপুর সদর উপজেলার শহরের কুকরাইল এলাকায় আফজাল হোসেনের বাড়িতে ছিল।
সেখানে একটি ঘরে মুক্তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় ওই বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা। এসময় তারা গুরুতর অবস্থায় মুক্তাকে উদ্ধার করে একটি ভ্যানগাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠায়। মুক্তা মারা গেছে বুঝতে পরে ভ্যানচালক হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

বুধবার রাতেই সদর হাসপাতালের ডা. মো. মফিজুল ইসলাম এক চিঠির মাধ্যমে সদর থানার ওসিকে লাশের বিষয়টি অবগত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠায়।

মুক্তা বেগমের কয়েকজন আত্মীয় জানায়, মুক্তার বিষয়টি মিমাংসার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিহত মুক্তার বাবা মো. শাহ আলম বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। কারণ লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। আমার মেয়েকে কেউ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই শ্যামল ঘোষ বলেন, হাসপাতাল থেকে থানায় খবর দেওয়া হয় একটি মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে গেছে এক ভ্যান চালক। পরে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাঝে মধ্যেই মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকায় তাদের দুসর্ম্পকের আত্মীয় আফজাল হোসেনের বাড়িতে যেত ওই নারী। সেখানে রাতে ফাঁস দিলে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

‘এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় ওসি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/বেলাল/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর