মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে 'ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট' নামের মাঠপর্যায়ের একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০০জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। তিনমাস পর এই সংখ্যা পুনরায় পর্যালোচনা করে বাড়ানো হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে চুক্তিটি সই হয়।
সোমবার থেকে ওই চুক্তিটির বিষয়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা শুরু হয়।
চুক্তি সাক্ষরের পর মিয়ানমার থেকে পররাষ্ট্র সচিব মো.. শহিদুল হক বলছেন,'' চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৩০০জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। বাংলাদেশ প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর দাবি করেছিল। কিন্তু মিয়ানমার সপ্তাহে ১৫০০ রোহিঙ্গা ফেরত নিতে রাজি হয়।
বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গারা রয়েছেন, তাদের কীভাবে ফেরত আনা হবে, কোন রুট দিয়ে হবে, কোন কোন জায়গায় তাদের রাখা হবে, মিয়ানমারে যাবার পর তাদের কোথায় নেওয়া হবে, নিরাপত্তা, বাড়িঘরের কী হবে, কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহিদুল হক।
প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবে বলে চুক্তিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
চুক্তিটিতে ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ভূমিকা এবং রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পর রোহিঙ্গাদের জীবন-জীবিকার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশে সাড়ে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
