কান্তার মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা?

ম্যাপ

কান্তার মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা?

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রেম করে ভিন্ন ধর্মের টিপু দাসকে বিয়ে করেছিলেন কান্তা বড়ুয়া। ছয় মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হলো কান্তার লাশ। শ্বশুরবাড়ির লোকদের দাবি আত্মহত্যা করেছেন কান্তা। তবে স্থানীয়দের মতে ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করায়ই অকালে পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে মেয়েটিকে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় কান্তার নিথর দেহ।

চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রেম করে বিয়ের ছয় মাস পর গৃহবধূ মারা যাওয়ায় নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। তাই মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এদিকে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে কান্তার হাত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত চৌধুরী।

জানা গেছে, মাস ছয়েক আগে প্রেম করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কান্তা বড়ুয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী টিপু দাসের। প্রথমদিকে পরিবার মেনে না নিলেও পরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন কান্তা। কিন্তু, ছয় মাসের মাথায় লাশ হয়ে বের হয় মেয়েটি।  

স্থানীয়রা জানায়, ঘুনিয়ায় পাশাপাশি হিন্দুপাড়া ও বড়ুয়াপাড়া। সেখানের নিটু বড়ুয়ার মেয়ে কান্তা বড়ুয়ার সঙ্গে সুরেশ শুক্লা দাসের ছেলে টিপু দাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা বিয়ে করতে চায়। কিন্তু পরিবারের সম্মতি না থাকায় তারা গোপনে বিয়ে করে। পরে টিপুর পরিবার কান্তাকে মেনে নেয়।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য অনিমেষ রঞ্জন বলেন, দুই গোত্রের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রেম করে বিয়ে হলেও তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ তেমন ছিল না। হঠাৎ শুক্রবার সকালে কান্তা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পারি।

সম্পর্কিত খবর