যুবলীগ নেতার কাণ্ড!

সংগৃহীত ছবি

যুবলীগ নেতার কাণ্ড!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে মামার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে  কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই নেতাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ মামলার এজাহার থেকে ওই যুবলীগ নেতাকে বাদ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরীর স্বজনেরা।

ওই যুবলীগ নেতার নাম মজিবুর রহমান ওরফে শরীফ।

 তিনি উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ওই কিশোরী ইয়াছিন হাজীর বাজার সংলগ্ন মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাত দেড়টার দিকে আসামিরা মামার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে। এ সময় দরজা খুলে দিলে আসামিরা ঘরে ঢুকে প্রথমেই ওই কিশোরীর নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করে।

ভোটার আইডি কার্ড ও জন্মসনদ দেখতে চায়। পরে মোটরসাইকেলে জোর করে উঠিয়ে দূরের একটি বাগানে নিয়ে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে চোখ বেঁধে বাড়ির কাছে রেখে যায়। মুখ খুললে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

কিশোরীর মা বলেন, ঘটনার পরের দিন ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ওরফে শরীফসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। কিন্তু তিন দিন পর শরীফের নাম বাদ দিয়ে দুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। শরীফ ও আসামিরা তাঁদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতেও তাঁদের বাড়ির সামনে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

কিশোরীর বাবা বলেন, শরীফ ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় এলাকায় কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না। এ ঘটনায় মেয়ে ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন।

ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান শরীফ বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, তিনি ধর্ষণ বা হুমকি দেওয়া কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে জড়ানোর পেছনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাত থাকতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করছেন।

উপজেলা যুবলীগের একাংশের আহ্বায়ক ও চাটখিল পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, তদন্তে শরীফ যদি অপরাধী প্রমাণ হন, তাঁর বিচার হবে। যদিও একটি মহল এই মামলায় শরীফকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, কিশোরী ও তার মা ১০ ফেব্রুয়ারি থানায় এসে মামলা করেন। বাদীর অভিযোগে যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। পরের দিন ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে, তবে এখনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।  

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর