হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মানিক ভান্ডার গ্রামে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তার দেবাশিষ দাস জানান, ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন কি না তার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে।
এদিকে পুলিশের দাবি জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, দুই পক্ষই একে অপরের আত্মীয়। তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ধর্ষণের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তাদের মারপিঠ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে মানিক ভান্ডার গ্রামের দিদার হোসেনের মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের মিজান মিয়া ও ফজুল হক। শনিবার ভোরের দিকে মিজান ও ফজুল হকসহ বেশ কয়েকজন জোরপূর্বক তাদের ঘরে প্রবেশ করে ওই মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে মা রোকেয়া খাতুন এগিয়ে আসলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে মিজান ও ফজুলসহ অন্যরা। এরপর মায়ের হাত পা বেধে রুমে আটক রেখে মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।
