সিলেটে মাটি চাপা পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

সংগৃহীত ছবি

সিলেটে মাটি চাপা পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর পাথর কোয়ারির গর্ত ধসে মাটিচাপায় ছয় শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ভোলাগঞ্জের হাজিরডেগনার সীমান্ত এলাকায় গর্ত ধসে পাঁচজন ও সোমবার দুপুরে শ্রীপুরে গর্ত ধসে আরও একজন মারা যান।

নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের মুরাদপুর এলাকার আসকর আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২২), একই এলাকার হজরত আলীর ছেলে মতিবুর (৩২), জামালগঞ্জের কলকটা গ্রামের আতাবুর রহমান (৩০) দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ছলেরবন গ্রামের আশিক আলী (৩০), সুনামগঞ্জের রইছ উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন (৩২) ও দেলোয়ার হোসেন (২৬)।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রুহেল (১৮), রফিকুল (১৬) ও ফিরোজ আলী(৪৫)।

 

ভোলাগঞ্জে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাথর উত্তোলনে সংশ্লিষ্ট কোয়ারির শ্রমিক সর্দার আব্দুর রউফকে আটক করেছে। এ গর্তের মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজাদ।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ভোলাগঞ্জের হাজিরডেগনা সীমান্ত এলাকায় পাথর উত্তোলনের গর্তের মাটি ধসে পড়ে। রাতেই দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে ওই গর্তে অভিযান চালিয়ে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর বিকেল তিনটায় একই গর্ত থেকে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) দিলীপ নাথ বলেন, পুলিশ এ পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মো. মঈনুল জাকির জানান, সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলার শ্রীপুর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনের সময় গর্ত ধসে ১০-১২ জন শ্রমিক আহত হন। তাদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে দেলোয়ার হোসেন মারা যান।

সম্পর্কিত খবর