মৃত স্বামীর জন্য দোয়া করাতে গিয়ে ধর্ষিত নারী

প্রতীকী ছবি

মৃত স্বামীর জন্য দোয়া করাতে গিয়ে ধর্ষিত নারী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নোয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (৪০)। মৃত স্বামীর জন্য গ্রামের বাড়িতে দোয়া করাতে গিয়ে ধর্ষিত হন তিনি। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখা হয় সঙ্গে থাকা ১২ বছরের ছেলেকে। বিষয়টি জানানোর পর স্থানীয় লোকজন সালিসের মাধ্যমে তা মিটমাট করার চেষ্টা চালায়।

পরে সালিসের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে থানা পুলিশ। গতকাল দুপুরে রুবেল ও নুর নবী এবং সালিসদার আবুল কাশেম ওরফে মাছ কাশেমকে আটক করা হয়।

ধর্ষণের শিকার বিধবা ওই নারীর বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাতারপাইয়া-বসন্তপুর সড়কের পাশের খালপাড়ে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

বিধবা ওই নারী তখন চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে ১২ বছরের ছেলে ছিল। পরে ছেলেই অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

বিধবা ওই নারী বলেন, তিন মাস আগে তার স্বামী অসুস্থ হয়ে মারা যান। তিনি চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে চট্টগ্রামে তার সঙ্গে থাকে। আর দেড় বছর বয়সী ছোট ছেলে বাড়িতে তার মায়ের সঙ্গে থাকে। বুধবার বিকেলে তিনি ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রাত ১০টার দিকে তিনি স্থানীয় বাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য সেলিম নামের এক ব্যক্তির রিকশা ভাড়া করেন।

নারী অভিযোগ করেন, রিকশাটি কিছু দূর যাওয়ার পর রিকশাচালক প্রস্রাব করার অজুহাত দেখিয়ে রিকশা থামায়। এ সময় তিনি মোবাইলে কথা বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নুর নবী ও রুবেল সেখানে হাজির হয়। তারা তাকে রিকশা থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে একটু দূরে খালপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ছেলে কান্নাকাটি করলে তাকে ছুরির ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রাখেন। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা তার কাছ থাকা নগদ তিন হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন সেটটি নিয়ে যায়। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনকে ঘটনাটি জানালে তারা বিষয়টি সালিসে মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু ভুক্তভোগী ওই নারী সালিস মানেননি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার চান তিনি।

এদিকে, বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ্‌জাহান শেখ গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, রুবেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বাকি অপরাধীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত খবর