গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৪৬তম

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৪৬তম

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৪৬তম

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সূচক ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৮’-তে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম। এর আগের বছরও একই অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। তবে ২০১৬ সালে এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৪তম।  

বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা প্যারিসভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বা রিপোর্টার্স স্যানস ফ্রন্টিয়ার্স (আরএসএফ) এই সূচক প্রকাশ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির করা জরিপে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে আছে ভারত-পাকিস্তান। দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ১৩৮ ও ১৩৯তম। এছাড়া সূচকে মিয়ানমারের অবস্থান ১৩৭তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩১তম, আফগানিস্তানের অবস্থান ১১৮তম, রাশিয়ার অবস্থান ১৪৮তম, সৌদি আরবের অবস্থান ১৬৯তম ও ইসরাইলের অবস্থান ৮৭তম।

এইবারের সূচকের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে।

আর সূচকের একেবারে শেষে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। সূচকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সুইডেন, তৃতীয় নেদারল্যান্ড, চতুর্থ ফিনল্যান্ড, পঞ্চম সুইজারল্যান্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৫তম। এছাড়া সূচকের একেবারে তলানিতে অবস্থানকারী পাঁচ দেশ হচ্ছে যথাক্রমে- চীন, সিরিয়া, তুর্কিমিনিস্তান, ইরিত্রিয়া ও উত্তর কোরিয়া।

সূচক অনুসারে, বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থানে পরিবর্তন না এলেও নির্যাতন বিষয়ক (এবিউজ) স্কোরে পরিবর্তন এসেছে। গত বছর বাংলাদেশের এবিউজ স্কোর ছিল ১০০ থেকে ৪৮.৩৬।
এই বছরের সূচকে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৩০-এ। এর অর্থ হচ্ছে, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আওতায় কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিক এবং কয়েক শ’ ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নির্যাতন করা হয়েছে।  

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়কে সূচকের বিশ্লেষণে আরএসএফ বলেছে, এইবারের সূচক এটার প্রতিফলন ঘটায় যে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতারা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হিংস্রতাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো এমন ধারণা প্রচারের চেষ্টা করছে যে, সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। গণমাধ্যমের প্রতি হিংস্রতা কেবল তুরস্ক (১৫৭) ও মিশরের (১৬১) মতন গুটিকয়েক স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোতেই আবদ্ধ নেই। এই হিংস্রতা ছড়িয়ে পড়ছে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও। নতুন নির্বাচিত নেতারা গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করেন না। যুক্তরাষ্ট্রের মতন দেশে, যেখানে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, সেদেশও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তা সূচকে দুই ধাপ নিচে নেমে এসেছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের ‘জনগণের শত্রু’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

সম্পর্কিত খবর