প্রেমিকের সঙ্গে মিলনের দৃশ্য ভুল করে লাইভে!

ক্রিস্টেন হ্যাঞ্চার

ফের আলোচনায় ক্রিস্টেন হ্যাঞ্চার

প্রেমিকের সঙ্গে মিলনের দৃশ্য ভুল করে লাইভে!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

অনেকের মধ্যে সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে দেখা যায়। কখন কোথায় যাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন- সবই ভার্চুয়াল বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। শেয়ার করেন ব্যক্তিগত নানা ছবি ও ভিডিও পর্যন্ত। এ থেকে বাদ যায় না নিজের অন্তরঙ্গ ছবিও।

তাই বলে লাইভে গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক মিলন! না, ইচ্ছা করে নয়, ভুল বসত এমন অন্তরঙ্গ মুহূর্তে চাপ পড়ে গিয়েছিল ইন্সটাগ্রামের লাইভ বাটনে। ব্যাস! তিন মিনিটের সেই মিলনদৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকলো ১৪ হাজার অনুসারী। প্রায় নয় মাস আগের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আজও তাড়া করে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ১৮ বছর বয়সী তরুণী ক্রিস্টেন হ্যাঞ্চারকে।

গত বছরের অক্টোবরের কথা।

প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক মিলনের সময় ভুল করে চাপ পড়ে যায় ইন্সটাগ্রামের লাইভ বাটনে। প্রায় তিন মিনিট ধরে লাইভ থাকার পর বন্ধ হয় ভিডিওটি। বিষয়টি বুঝতেই পারেননি হ্যাঞ্চার। কোনও বিখ্যাত অভিনেত্রী বা মডেল না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিস্টেনের পরিচিতি নেহাত কম নয়। ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা তখন ৩৯ লক্ষ। news24bd.tv আর ওই সময় লাইভ দেখছিলেন তার প্রায় ১৪ হাজার অনুসারী। হ্যাঞ্চার যতক্ষণে বিষয়টি বুঝতে পারেন ততক্ষণে তার ভিডিওটি ভাইরাল। পরমুহূর্তে তিনি ভিডিওটি ডিলিট করে দেন এবং একটি পোস্টে অনুসারীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে মন্তব্যের ঝড় থেকে বাঁচতে পারেননি ওই ইন্সটাগ্রাম তারকা। একের পর এক তীর্যক মন্তব্য আসতে থাকে। অনেকেই তাৎক্ষণিক ভিডিওটি ডাউনলোড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল লাইভ টকশোতে ক্রিস্টেনের সমালোচনায় মুখর হয়।

যদিও ক্রিস্টেনের ভাগ্য কিছুটা সহায় ছিল। কারণ লাইভে এলেও ক্যামেরা উল্টো করে রাখায় কোনও কিছু দৃশ্যমান হয়নি। শুধু অডিও শোনা গেছে। তাতেই নেটিজেনদের ঝড়ের কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা হয় ১৮ বছরের তরুণীর। ক্রিস্টেন ভিডিওটি ডিলিট করে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এক পোস্টে লেখেন, ''যারাই আমার লাইভ ভিডিওটি দেখেছেন, আমি তাদের কাছে এর জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি। এটা সত্যিই চরম বিব্রতকর। আপনারা মন থেকে ওই স্মৃতি মুছে ফেলুন। ''

তবে অনেকেই মন্তব্য করেন যে, ক্রিস্টেন এটাকে অনিচ্ছাকৃত বললেও তা ঠিক না। মূলত আলোচনায় আসতে সে ইচ্ছাকৃতভাবেই এ কাজটি করেছে। আবার ক্যামেরা উল্টো করে রেখে নিজেকে আড়াল করারও চেষ্টা করেছে।

কথা হচ্ছে, নয় মাস আগের ঘটনা ফের কেন আলোচনায়? কথায় আছে, 'একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না'। ক্রিস্টেনের বেলায়ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ওই ঘটনার পর ক্রিস্টেন হ্যাঞ্চারকে নিয়ে সারা পৃথিবীর অসংখ্য গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। ইউটিউবে ভিডিও নিউজ করে হাজারো ইউটিউবার। ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই সব ভিডিও ও নিউজ। নিজের সেই লাইভ ভিডিও ডিলিট করতে পারলেও অন্যদের করা ওইসব ভিডিও ও নিউজ ভার্চুয়াল জগত থেকে মুছে ফেলতে পারেননি হ্যাঞ্চার। ফলে নেট ঘাটতে গিয়ে প্রায়ই এমন সব খবর ও ভিডিও সামনে চলে আসছে ওই তরুণীর স্বজন ও পরিচিতজনদের, যা হ্যাঞ্চারকে এখনো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। সম্প্রতি হ্যাঞ্চারের এক অনুসারী ইন্সটাগ্রামে ঘটনাটি ফের মনে করিয়ে (উস্কে) দিয়ে যেন জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন। এরপরই বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে আসে।

সম্পর্কিত খবর