শেরপুরে মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম

শেরপুরে মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম

চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো ডাক্তার দম্পতি
নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শেরপুরে মাথা জোড়া লাগানো যমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শহরের মাধবপুরস্থ ফ্যামেলি নাসিং হোমে ওই যজম কন্যা শিশুর জন্ম দেন গার্মেন্টস কর্মী রুবেলের স্ত্রী রেহানা। সিজারের মাধ্যমে সফলভাবে মাথা জোড়া লাগানো যমজ নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।  

ডাক্তার জানিয়েছেন, যমজ শিশু ভালো আছে।

দু’জনেই হাসছে, খেলছে, মায়ের দুধ খাচ্ছে। তবে জোড়া লাগা এক শিশুর তালু কাটা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।  

মাথা জোড়া লাগানো ওই যমজ নবজাতকের জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের দেখার জন্য প্রতিদিন শতশত মানুষ ফ্যামেলি নার্সিং হোমে ভিড় করছে। তাদের একজনের নাম রাখা হয়েছে বেলা, আর অপর জনের নাম সুন্দরী।

গেল বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আলাদা হওয়া গাইবান্ধার দুই শিশু তোহা ও তহুরার মতোই এই দুই শিশুর জন্ম এখন শেরপুরের টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।  

তবে এমন অস্বাভাবিক ঘটনায় শিশু দুইটির চিকিৎসা নিয়ে পরিবারের লোজনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। অবশ্য এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. শরিফুর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুর সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাইনা হোসেন।  

গণমাধ্যমকে ডাক্তার শরিফুর ও তার স্ত্রী জানান, শিশু দু’টির চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় তারা বহন করবেন।  

ইতোমধ্যেই ডাক্তার নাইনা, একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ও বেলা-সুন্দরীর মা রেহানা পর্যক্ষেণ শুরু করেছেন। আগামী শুক্রবার (১৩ জুলাই) তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা করে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হতে পারে বলে জানানো হয়।

এরপরই তোহা ও তহুরা ন্যায় বেলা-সুন্দরীকেও অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করার বিষয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার সামন্ত লাল সেন তার সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর