সেনা আইন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য: পাক প্রধান বিচারপতি

পাকিস্তানের সেনা আইন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আতা বন্দিয়াল।

প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল, বিচারপতি ইজাজুল আহসান, বিচারপতি মনসুর আলী শাহ, বিচারপতি মুনীব আখতার, বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি, বিচারপতি আয়েশা মালিক এবং বিচারপতি মাজাহির আলী নকভির সমন্বয়ে গঠিত সাত সদস্যের বেঞ্চ সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচারের এক বেঞ্চ পিটিশনের শুনানি করেন।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা তাদের দলের প্রধানকে গ্রেপ্তারের পর সেনা স্থাপনা ভাঙচুর করে। পরে সরকার বেসামরিক নাগরিকদের সেনা আইনের অধীনে বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান, সাবেক প্রধান বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা, আইন বিশেষজ্ঞ আইতজাজ আহসান এবং পিলারের নির্বাহী পরিচালক কারামত আলী সহ পাঁচজন সুশীল সমাজের সদস্য পৃথকভাবে দায়ের করা পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টকে সামরিক বিচারকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার অনুরোধ করে।

শুনানির সময়, প্রধান বিচারপতি বন্দিয়াল, বিচারপতি শাহকে উদ্ধৃত করে বলেন, সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোর সঙ্গে সরাসরি প্রভাবিত হয়।

‘জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য চাকরিরত সেনা কর্মকর্তাকে উসকানি দেওয়া একটি গুরুতর অপরাধ ছিল। ’

সিজেপি মন্তব্য করেছেন, সেনা আইনের ধারাগুলো পর্যালোচনা করার প্রয়োজন নেই। সামরিক আদালতে বেসামরিকদের বিচার করা যাবে না এটা বলা ঠিক হয়নি। একজন বেসামরিক ব্যক্তি যদি সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য প্ররোচিত করে তাহলে তার বিচার সামরিক আদালতে করা হয়। ’

তিনি আরও বলেন, সামরিক আদালতের এখতিয়ারে বেসামরিক নাগরিকদের আনার জন্য কী পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে এবং কীসের ভিত্তিতে সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) মামলাগুলো সামরিক আদালতে পাঠিয়েছে, তা দেখতে হবে।

সূত্র- জিও নিউজ।

news24bd.tvতৌহিদ