গাজাকে দেওয়া আর্থিক সহায়তা নিয়ে তোপের মুখে কাতার

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে গাজাকে দেওয়া অর্থ সহায়তার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে কাতার। ইসরায়েলি অনুসন্ধানী সংবাদ সংস্থা শমরিমের তথ্যমতে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পূর্ণ সমর্থন নিয়েই কাতার ফিলিস্তিনকে অর্থ পাঠিয়েছে।  

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলআজিজ বিন খুলাইফি বলেন, আমরা কাতারকে সাহায্য করা বন্ধ করবো না। পূর্বের মতো এখনও আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সাহায্যার্থে অর্থ পাঠিয়ে যাবো।

২০১৮ সাল থেকে কাতার ফিলিস্তিনকে আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করে। ইসরায়েলের সাথে দরকষাকষির পর কাতার গাজায় স্যুটকেসে করে মাসিক ১৫ মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ পাঠাতে শুরু করে। ২০১৭ সালে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে কাতার এ সাহায্য পাঠাতে শুরু করে। ২০১৮ সালের আগস্টে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রীপরিষদ এই সাহায্যকে অনুমতি প্রদান করে।

পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাসের মধ্যে সংঘাত বাঁধিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ইসরায়েল কাতারের আর্থিক সাহায্যকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছে সিএনএন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাবেক কর্মকর্তা আমোস গিলাদ বলেন, আমরা মনে করেছিলাম হামাসকে অর্থ দেওয়া হলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করা সহজ হবে। একই সুরে কথা বলেছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাবেক ডেপুটি শ্লোমো ব্রম। তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম হামাস শক্তিশালী হলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে সমঝোতার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাবে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাসকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করার দায়ে কাতার তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে কাতার জানিয়েছে যে তারা গাজায় কর্মরতদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্যই কেবল অর্থ পাঠিয়েছে। যেকোনো ধরনের উসকানি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সমঝোতার প্রক্রিয়াকে ব্যহত করবে বলেও জানায় দেশটি।

news24bd.tv/ab