সেনবাগে মা-মেয়ে-শাশুড়িকে হত্যাচেষ্টা: ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১

নোয়াখালীর সেনবাগে ঘরে ঢুকে মা-মেয়ে ও শাশুড়িসহ তিনজনকে ধারালো চেনি দিয়ে কুপিয়ে জখম ও হত্যার চেষ্টা ঘটনায় আমির হোসেনসহ অজ্ঞাত পাঁচজনের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

এর আগে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সেনবাগের উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে এ হামলা চালায় তার সাবেক স্বামী আমির হোসেন। জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হামলা করেন আমির।

ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আমির পালিয়ে যায়। সে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।

আহতেরা হলেন, সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০) তার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮) ও নাতনী রাবেয়া আক্তার (১৮)।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনের সঙ্গে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। কয়েক বছর পর তাদের সংসারে কলহ দেখ দেয়। তিন বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ (ছাড়াছাড়ি) হয়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করে এবং স্বামী পার্শ্ববর্তী আর একটি গ্রামে দুই বছর আগে নতুন করে বিয়ে করে বসবাস শুরু করে।

শুক্রবার ভোর রাতের দিকে আমির হোসেন মুরগির খোপে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে শব্দে তার সাবেক স্ত্রী ফাতেমা ঘরের দরজা খোলেন। এসময়য় হঠাৎ আমির ঘরে ঢুকে ধারালো চেনি দিয়ে এলোপাতাড়ি সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

news24bd.tv/SHS