ট্রাম্প ইউক্রেনকে এক পয়সাও দেবেন না: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তিনি ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করবেন না বলে জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সাথে এক বৈঠক শেষে নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের এই প্রার্থী নিজেই তাকে এই কথা জানিয়েছেন বলে অরবান উল্লেখ করেন। খবর আল জাজিরার।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এম ওয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অরবান বলেন, ট্রাম্পের ভবিষ্যত পরিকল্পনা খুবই পরিষ্কার, এবং তার সাথে একমত না হয়ে পারা যায় না। আমার সাথে বৈঠকে তার প্রথম কথাই ছিল তিনি ইউক্রেনকে এক পয়সাও দেবেন না।

অরবানের এই মন্তব্যের ব্যাপারে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য এখনও আসেনি।

অরবান নিয়মিত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মাঝে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনার কথা বলে থাকেন। তিনি মনে করেন ট্রাম্পই পারবেন এই যুদ্ধ থামাতে এবং এজন্যই ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে অরবান জানান, যুক্তরাষ্ট্র অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিলে ইউরোপ একা ইউক্রেন যুদ্ধ চালাতে পারবে না। এভাবেই যুদ্ধটি শেষ হবে।

আরও পড়ুন: পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার টিমের এক বক্তব্য অনুযায়ী, ট্রাম্প এবং অরবান দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় আলোচনা করেছেন। তার মধ্যে সীমান্তে নিরাপত্তা অন্যতম।

গত অক্টোবরে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অরবানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই অরবান পুতিনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এসেছেন এবং রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্প-অরবানের বৈঠকের সমালোচনা করে বলেন, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী স্বৈরতন্ত্রকে সমর্থন করছেন।

ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ইউক্রেন ও ন্যাটোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন কমে যাবে বলে মনে করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

news24bd.tv/ab