<p>ঘূর্ণিঝড় রিমাল&nbsp;</p>

সুন্দরবনে বাড়ছে মৃতদেহের মিছিল

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃতদেহের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ রোববার (২ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের অভ্যন্তরসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও চর থেকে ১৩৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা। উদ্ধার করা মৃত এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে ১৩০টি হরিণ ও চারটি বন্য শুকর।

সুন্দরবনে একটানা ৩৬ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে চলা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ছোবলে মারা যাওয়া এসব বন্যপ্রাণীর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে বনরক্ষিরা। এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর লাশের সংখ্যা। মৃতদেহগুলো অবশ্য এই বনের মধ্যেই মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। বন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনে ৩৬ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। পুরো সময়ে ৬ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে ছিল সুন্দরবন। দীর্ঘসময় ধরে সুন্দরবন জলমগ্ন থাকায় বন্যপ্রাণীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে হরিণসহ অন্য বন্যপ্রাণীর শাবক বেশি মারা গেছে।

ঘূর্ণিঝড় শেষ হবার পর গত পাঁচদিনে সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, ডিমেরচর, পক্ষীরচর, শেলারচর, নীলকমল, নারিকেলবাড়িয়া ওজ্ঞানপাড়াসহ এলাকা থেকে মৃত ১৩০টি হরিণ ওচার৪টি বন্যশুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৮টি জীবিত হরিণ ও একটি অজগর সাপ। এই ১৮টি হরিণ ও অজগর সাপটিকে চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মৃত বন্যপ্রাণীর সন্ধানে তল্লাশি চলমান রয়েছে। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে অনেক বন্যপ্রাণী ভেসে গেছে। মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সাগরে ভেসে মারা পড়া ও গহীন অরণ্যে পড়ে থাকায় সব বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ কখনোই উদ্ধার সম্ভব হবে না। সে কারণে মৃত বন্যপ্রাণীর সঠিক হিসাবও কখনোই পাওয়া যাবে না।

news24bd.tv/SHS