কেনিয়ায় বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ২২

কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেনিয়ায় পুলিশের গুলিতে ২২ জন নিহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর মঙ্গলবার (২৫ জুন) পুলিশ গুলি চালালে তাদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অনেকেই। কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশনের বরাত দিয়ে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

কেনিয়ার ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটসের চেয়ারওম্যান রোজলিন ওডেদে বলেন, ‘আমরা ২২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছি। ’ তিনি বলেন, পুলিশ গুলিতে নাইরোবিতে ১৯ জন মারা গেছে।

কেনিয়ায় একটি বিতর্কিত কর বিল পাশ হওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষুব্ধ জনতা দেশটির পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে ভাংচুর করে। তাদের নিয়ন্ত্রন করতে পার্লামেন্টের ভেতরেই কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালায় পুলিশ।

সিটিজেন টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা দিনের শুরুতেই পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিল। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হলে গুলি চালায় বাহিনীটি।

পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টাকারী বিক্ষোভকারী ডেভিস তাফারি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা পার্লামেন্ট বন্ধ করতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার হবে। ’

সিএনএনকে লাইভে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৎ বোন আউমা ওবামা। এসময় কেনিয়ান-ব্রিটিশ এই অ্যাক্টিভিস্টের ওপরও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।

পুলিশ শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট থেকে বিক্ষোভকারীদের বের করে দিতে সক্ষম হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে আইন প্রণেতাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

নতুন এই কর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার তৃতীয় ও চূড়ান্ত রাউন্ড ছিল। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বিলটিতে এখন স্বাক্ষর করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। তবে এটি নিয়ে প্রেসিডেন্টের কোনও আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারবেন।

বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি।

সূত্র: এএফপি ও রয়টার্স

news24bd.tv/DHL