অসত্য বয়ান বন্ধ করুন: টিআইবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে আটকে রেখে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সোমবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে এটিকে মিথ্যাচার, প্রতারণামূলক ও সংবিধান পরিপন্থী অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

টিআইবি বলেছে, ‘আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে বিপুল প্রাণহানি, বাছবিচারহীন মামলা ও ধরপাকড়ের মতো অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোকে বৈধতা দিতে সরকার ও রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর অসত্য বয়ানের ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মিথ্যাচার যে আত্মঘাতী ও গণবিরোধী তা উপলব্ধি করার আহ্বান জানাই। ’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে এমন মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে আন্দোলনের সমন্বয়কদের মূলত তুলে নিয়ে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।

তাছাড়া ‘নিরাপত্তা হেফাজত’-এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে আটকে রাখা সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একইভাবে সমন্বয়কদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পড়তে বাধ্য করা সংবিধানের ৩৫(৪) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। মূলত আন্দোলন দমনে বল প্রয়োগের ঘটনাকে ঢাকতে এমন অসাংবিধানিক প্রচেষ্টার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে—এমন ধারণা হওয়া মোটেও অমূলক নয়।

news24bd.tv/DHL