বিশ্বকাপ আয়োজন বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিতে চায় জিম্বাবুয়ে

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে বিশ্বকাপ আয়োজন সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্ব ক্রিকেটে নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। প্রথমে ভারতকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাই বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে আইসিসি ভাবলেও এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে।

ইতোমধ্যে নিজেদের আগ্রহের কথা আইসিসির কাছে প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।

এর আগে ২০১৮ ও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব সফলভাবে আয়োজন করে জিম্বাবুয়ে। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ আইসিসি ইভেন্ট পেতে চায় তারা। এর আগে ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সঙ্গে ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ পেয়েছিলো জিম্বাবুয়ে।

এরপর দীর্ঘ সময় তারা বড় কোন টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়নি। আর্থিকভাবে সংকটে থাকা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড তাই মুখিয়ে আছে এবারের সুযোগ লুফে নিতে। তবে বিশ্বকাপ আয়োজনে এখনও হাল ছাড়েনি বিসিবি। আগামী ২০ আগস্ট আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বকাপ না হলেও জিম্বাবুয়েকে বেছে নিতে পারে আইসিসি। এর আগে আরব আমিরাতের কথা ভাবলেও, জিম্বাবুয়েকে বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে।

জিম্বাবুয়েতে গ্যালারিতে আসন সংখ্যা কম হলেও সেখানকার মানুষ বেশ আমুদে ও খেলা প্রিয়। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ আয়োজনে খরচও আমিরাত থেকে পড়বে কম। এ ছাড়াও জিম্বাবুয়ের আরও একটি সুবিধা আছে। দেশটির আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক, যা আমিরাতে মিলবে না। তাই আইসিসির পরিকল্পনায় ভালো ভাবেই থাকবে আফ্রিকা দেশটি।

মূলত, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ায় বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং নাজমুল হাসান পাপনের আত্মগোপনের পর বাংলাদেশে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। কারণ, সরকার পতন কেন্দ্র করে থানা ও পুলিশের ওপর হামলায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ধসে পড়েছে।

বহু পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় পুলিশ বিভাগ কর্মবিরতি পালন করে কয়েক দিন। পুলিশ কাজে ফিরলেও বেশিরভাগ থানার অবকাঠামো এখনও বিধ্বস্ত। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের পরিবর্তে বিকল্প ভেন্যুতে বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবতে হচ্ছে আইসিসিকে।

আরও পড়ুন: আইসিসির কাছে ৫ দিন সময় চেয়েছে বিসিবি

উল্লেখ্য, আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের আয়োজক হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ৩ অক্টোবর লাল-সবুজের গালিচায় পর্দা ওঠার কথা রয়েছে এই টুর্নামেন্টের। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আসর শুরু হওয়ার আগে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ওয়ার্মআপ ম্যাচ। টুর্নামেন্টের সূচি অনুযায়ী, ৩ অক্টোবর মিরপুরে হওয়ার কথা ছিলো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল হবে ২০ অক্টোবর।