গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি জরুরি বলে অবিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছানোর উপর জোর দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের হাউসের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বুধবার একটি কলে বাইডেন জানান, হামাসের সাথে চুক্তিতে যেকোনো ধরণের প্রতিবন্ধকতা দ্রুত দূর করতে হবে। সেই কলে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ছিলেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
এসময় তিনি ইরান, হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথিসহ সকল হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সফর সমাপ্ত করার পর বাইডেনের তরফ থেকে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে এমন একটি চুক্তির জন্য চাপ দেওয়া হলো।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় বুধবার বলেছে যে, ইসরায়েল গাজা এবং মিশরের সীমান্ত বরাবর একটি স্থলভাগে সৈন্য রাখার পরিকল্পনা করেছে। গাজা এবং মিশরের সীমান্ত বরাবর স্থানটি ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত। এদিকে গাজা যেন আর কখনও ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি না করে সে বিষয়েও বিবৃতইতে বলা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে। হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে জোর দিয়ে আসছে। মিশরও গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতির বিরোধিতা করছে।
এই সপ্তাহের শেষে কায়রোতে যুদ্ধবিরতি আলোচনার একটি নতুন দফা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে মার্কিন, ইসরায়েল, মিশরীয় এবং কাতারি প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। যদিও হামাস এই আলোচনায় যোগ দেবে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করেনি।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর একজন সদস্য সোমবার বিবিসিকে বলেছেন যে তারা ২ জুলাই মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে এবং তাই নতুন আলোচনার বা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নতুন দাবি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।
হামাস কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ নমনীয়তা এবং ইতিবাচকতা দেখিয়েছি। তিনি দাবি করেছেন যে নেতানিয়াহু "যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আগ্রহী নন, তিনি আগ্রহী শুধুমাত্র অঞ্চলকে উত্তেজিত করতে ... এবং নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করতে। " সূত্র: বিবিসি
news24bd.tv/এসএম