আমরা এখন নতুন সমাজ বানাতে চাই: ফারুকী

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়  ফারুকী। প্রায় প্রতিদিনই বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর ভাষণের পর ফেসবুকে  এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারুকী। সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রফেসর ইউনূসের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশী আশ্বস্ত করেছে।  

নিম্নে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর দেওয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

তিনি লিখেছেন, ''প্রফেসর ইউনূসের আজকের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশী আশ্বস্ত করেছে। তার কথার মধ্যে স্পষ্ট ইংগিত ছিলো ইনক্লুসিভনেসের। আজকে তাঁকে মনে হয় নাই উনি কেবল একটা গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটা এই মুহূর্তে আমার বিবেচনায় সিগনিফিক্যান্ট কারণ আমি গত কিছুদিন অনুভব করছিলাম মানুষের একতার স্পিরিটটা একটু আলগা হয়ে আসছে। যেদিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে ছাত্রদের বের করে দিয়েছিলো হাসিনা, সেদিন থেকে প্রাইভেট ইউনিভারসিটি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, বিএনপি, বাম দল, জামাত সহ সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক, গৃহিনী, অভিভাবকসহ সবাই যে স্পিরিট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো সেই স্পিরিটই ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটায়। এই স্পিরিটটা আমি বন্যা পর্যন্ত দেখেছি। সবাই তখন দেশটা ওউন করতেছিলো। কিন্তু এর পরেই ঘটে সাময়িক ছন্দপতন। কেমন সবাই হিজ হিজ হুজ হুজ হতে শুরু করলো।

আমরা এখন নতুন সমাজ বানাতে চাই। ফলে আমাদের খোলাখুলি বলা উচিত এই ছন্দপতন শুরু হয় আন্দোলনের কৃতিত্ব এবং মাস্টারমাইন্ড বিষয়ক বিতর্কে। সময় এসেছে এই আত্মঘাতী কাজ থেকে বিরত থাকা। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী লীগ বাদে সবাই। বিভাজনের খেলা বন্ধ করি চলেন। মনে রাখবেন বিপ্লব সফল হয় অন্তর্ভুক্তিতে। বিপ্লব ঝুঁকিতে পড়ে বিভক্তিতে।   আওয়ামী লীগ বাদে যারা আছেন তারা একে অন্যকে আক্রমণ না করে, নিজেদের কর্মসূচী নিয়ে জনতার কাছে যান। জনতা যাঁদের ভোট দিবে তারা সরকার গঠন করবেন। যারা ভোট কম পাবেন তাঁদেরও ভূমিকা থাকা উচিত নতুন সহনশীল বাংলাদেশ নির্মাণে। এই মূহুর্তে আক্রমণ আক্রমণ খেলা সবাই বন্ধ করা জরুরী। যারা রাজনৈতিক দলে আছেন অলরেডি এবং যারা দল করবেন- দুই পক্ষেরই। এবং সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রশাসনকে সাহায্য করেন''।  

news24bd.tv/TR