শরীয়তপুরে হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাবাডি খেলা

চারদিকে হাজারো দর্শকের উল্লাস আর করতালি। কোথাও নেই দাঁড়ানোর একটুকু জায়গা। কেউ ভবনের ছাদে, আবার কেউবা উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখছিলেন খেলা। তবে এটা ক্রিকেট কিংবা ফুটবল নয়, ছিলো কাবাডি খেলা। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। এক সময়ের হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্যবাহী খেলা আয়োজন করা হয় শরীয়তপুরে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকায় এ খেলার আয়োজন করেন স্থানীয় যুব সমাজ। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ খেলা। এতে অংশ নেয় তুলাসার কাবাডি দল ও রুদ্রকর কাবাডি দলের মোট ১৬ জন সদস্য। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বিজয়ী হয় তুলাসার কাবাডি দল। এমন উৎসবমুখর পরিবেশে খেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজারো দর্শক। খেলা উপভোগ শেষে ধারাবাহিকভাবে এ খেলার আয়োজন করার কথা জানায় আয়োজকরা।

চিকন্দী এলাকা থেকে আসা সত্তর বছর বয়সী হান্নান বেপারি বলেন, ছোটবেলা আমরা অনেক হাডুডু খেলা দেখেছি এবং খেলেছি। কিন্তু এখন আর এই খেলা দেখা যায় না। আড়িগাঁও বাজারের মাঠে আজ সুন্দর একটি হাডুডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আমি খেলা দেখে ভীষণ খুশি হয়েছি। আশা করি এই খেলা ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হবে।

উৎসবমুখর পরিবেশে খেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজারো দর্শক

খেলা দেখতে আসা আব্দুর রহিম নামের এক যুবক বলেন, এই খেলার কথা শুনেছি। তবে এতোবড় পরিসরে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি। আজ আমাদের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে এমন একটি হাডুডু খেলার আয়োজন করায় আমরা ভীষণ খুশি।

তুলাসার কাবাডি দলের খেলোয়ার বেপারী মোহাম্মদ নাঈম বলেন, কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা। তবে এখন আর আগের মতো এই খেলার আয়োজন করা হয়না। আমরা স্থানীয় যুব সমাজ উদ্যোগ নিয়ে খেলাটির আয়োজন করেছি। সবাই অনেক ভালো খেলেছে। আমরা চাই ভালো খেলে জাতীয় পর্যায়ে খেলতে।

রুদ্রকর থেকে খেলতে আসা দ্বীন ইসলাম বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজন করায় আমরা ভীষণ খুশি হয়েছি। এভাবে যদি খেলাটির আয়োজন করা হয় তাহলে খেলাটি ধরে রাখা সম্ভব। আমরা চাই প্রতিটি এলাকায় খেলাটির আয়োজন করা হোক।

খেলার আয়োজক মাহাবুব মোরশেদ টিপু বলেন, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। খেলাধুলা মানুষকে সুস্থ ও সবল রাখে। আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকভাবে পরিচালনার করা হবে।

news24bd.tv/JP