পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত: পরিকল্পিত নাশকতার ইঙ্গিত

সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, রাঙামাটি ও বান্দরবানে উপজাতি-বাঙালি সংঘর্ষ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বুধবার (১৮ আগস্ট) খাগড়াছড়িতে মো. মামুনের মৃত্যু দিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালায় বাঙালিদের মিছিলের সময় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে দফায় দফায় গোলাগুলি হয়। এতে অন্তত ৩ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, চাকমা সার্কেলের প্রধান দেবাশীষ রায়ের অবৈধ রক্ষিতা ইয়েন ইয়েন পার্বত্য এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী। তার নেতৃত্বে উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলো পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে।  

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ি শহরের নারানখখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল চাকমা (৩০) নামে তিন জন নিহত হন।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে দীঘিনালা লারমা স্কয়ার এলাকায় পাহাড়ি–বাঙালি সংঘর্ষ বাধে। বুধবার মোহাম্মদ মামুন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ মারধরের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আহত মামুন বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বাসিন্দা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় পাহাড়িরা মিছিলে বাধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।  

বোয়ালখালী বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. লোকমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামুন হত্যার বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে তারা মিছিল বের করেছিলেন। পরে পাহাড়িরা এসে বাধা দিয়েছেন। এ জন্য ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো হবে এটা ভাবিনি। ’

news24bd.tv/আইএএম