সাজেকে আটকা পড়েছেন ৮ শতাধিক পর্যটক

সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে অন্তত আট শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ও চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। একইসঙ্গে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিক যৌথ বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।

খাগড়াছড়ি জিপ গাড়ির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ও দুপুর মিলে ১১৫টি জিপ এবং ৫০-এর বেশি সিএনজিচালিত মাহেন্দ্র গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করে। প্রতিটি জিপে ১২-১৪ জন এবং মাহেন্দ্রতে ৪-৫ জন যাত্রী যেতে পারেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউপিডিএফের অবরোধের ডাকে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা। শুনেছি, বেইলি সেতুগুলো থেকে পাটাতন খুলে নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পর্যটকদের বহন করা গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সমিতির পক্ষ থেকে কোনো গাড়ি সাজেক থেকে আজ ফেরেনি। ’

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মন বলেন, ‘অবরোধের কারণে সাজেকে ৮ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরিস্থিতি ভালো হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। ’

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, ‘অবরোধের কারণে ঝুঁকি থাকায় কোনো গাড়ি আজ ছাড়া হয়নি। সাজেকে পর্যটকরা আটকা পড়েছেন। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার পিটুনিতে মো. মামুন নামের এক যুবক প্রাণ হারান। এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিলের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও।

news24bd.tv/DHL