সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ ভারতের কাছে যেসব দাবি জানালো বিএনপি

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় ভারত। সম্পর্ক উন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বোঝাপড়া বাড়াতে চায় পার্শ্ববর্তী দেশটি।

আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এসময় পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ অন্যান্য বিষয়েও কথা হয় বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাথে।

এদিন বিকেল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সঙ্গে ছিলেন উপ-হাইকমিশনার প্রভন বাধে। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী এবং বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ।

প্রায় ঘণ্টাখানেকের একান্ত বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। সেখানে তিনি জানান, পরিবর্তিত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছে ভারত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যে সম্পর্ক (ভারতের) সেই সম্পর্ক আরও কিভাবে গভীর করা যায়, দৃঢ় করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমরা সেগুলো তুলে ধরেছি। আমরা আমাদের পানি সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার সেই কথা বলেছি। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা প্রয়োজন সেই কথাগুলো আমরা বলেছি। সেই সঙ্গে সিকিউরিটির যে বিষয়টা আছে সেটাও নিয়ে কথা বলেছি। ’

ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল আরও জানান, বৈঠকে পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করার কথা জানিয়েছেন ভারতের হাইকমিশনার।  

তিনি বলেন, ‘তারা এই বিষয়গুলোতে সজাগ। তারা চেষ্টা করছেন দ্রুততার সঙ্গে সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়। তাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান। বিশেষ করে এই পরিবর্তনের (ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতার পরিবর্তন) পরে নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে তাদের সঙ্গে তারা ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন। ’

‘আমাদের সঙ্গে (বিএনপি) এজ অ্যা পলিটিক্যাল পার্টি, আমাদের সঙ্গেও তারা তাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্ক সেটা দৃঢ় করতে চান। এই সম্পর্কের মধ্যে কী করে আরও সুস্থতা, আরও পজেটিভিটি নিয়ে আসা যায়, সেটা নিয়ে তারা কাজ করতে আগ্রহী’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে, কূটনীতিকদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকগুলোতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।

news24bd.tv/FA